নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলাজুড়ে আমন ধান ক্ষেতে ইঁদুর আর কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও প্রতিরোধ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। পোকার আক্রমণে চিটা হয়ে যাওয়া অনেকে ধানগাছ কেটে গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছেন।
হাওড়ের ফসলের মাঠে যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই আমন ধানের শীষের ঢেউ খেলতে দেখা যায়। কৃষকের কষ্টার্জিত ফসলের মাঠে ইঁদুর আর কারেন্ট পোকার থাবা পড়েছে। একদিকে ইঁদুর কেটে সাবার করছে ধানক্ষেত অপরদিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানগাছ শুকিয়ে মাটিতে নুয়ে পড়ছে ফসলের মাঠ। ধানের শীষের পড়ছে চিটা।
প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা ছিল কৃষকদের। কিন্তু হঠাৎ করেই উপজেলাজুড়ে ফসলের মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। চিটা ধানগাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ইঁদুর ও কারেন্ট পোকার আক্রমণের বিরূপ পরিস্থিতিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমে যাবে বলেও জানায় চাষিরা।
কেন্দুয়া সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌরসভাসহ ১৩ টি ইউনিয়নে ২০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে।
মাসকা ইউপির বাইগনি কৃষক আবু সাদেক মেম্বার জানান, মাঠের প্রতিটি খেতেই কমবেশি পোকার আক্রমণ হয়েছে। ইঁদুরে কাটছে। কীটনাশক ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে নানা ধরনের ওষুধ স্প্রে করছি কিন্তু কোন কিছুই কাজে আসছে না।
বিপ্রবর্প গ্রামের মাইন উদ্দিন মাস্টার জানান, তিনি ২০ কাটা (২০০ শত) জমিতে আমন ধান চাষ করেন। ৭/৮ কাটা জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে ধানগাছ শুকিয়ে মাটিতে নুয়ে পড়ছে। জমিগুলো ভালোই হয়েছিল এখনতো খারাপ অবস্থা। কোন কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উৎপাদনও কমে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার জানান, কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণের কথা শুনা যাচ্ছে। প্রত্যেকে এলাকায় আমাদের উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছেন। আশাকরি উৎপাদন তেমন একটা প্রভাব পড়বে না।
তিনি আরও জানান, কারেন্ট পোকা বাদামি গাছফড়িং প্রজাতির। গাছের গোড়া থেকে গাছের রস চুষে নেয়। ফলে গাছ শুকিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ