পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ মজুত করা রাখায় ১৭১.৫ কেজি জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দ ইলিশ স্থানীয় মাদরাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদারের নেতৃত্বে পুলিশ, সাংবাদিক ও এলাকার স্থানীয়দের এই বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন জানতে পারে, উপজেলার ৫ নং কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আজাহার মৃধার ছেলে মোখলেজ মৃধা (৪৫) এর ঘরে ব্যাপক পরিমাণ ইলিশ মাছ মজুত করা হয়েছে। কিছু সংখ্যক অসাধু জেলে এসব মাছের যোগানদাতা। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশের অভিযানের পরেও ইলিশ ধরার মতো দুঃসাহসিক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মাছ শিকারের পর নদীতীরবর্তী এলাকার বাড়ির মধ্যে বাজার বসিয়ে এবং কখনো নদীর পাড়েই প্রকাশ্যে বিক্রি করছে।
এসবের ওপর ভিত্তি করে বেলা ১টার দিকে মোখলেচ মৃধার বাড়িতে গেলে তার ঘর বাহির থেকে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর উপস্থিত সবার সামনে তালা ভেঙে ঘরের ছাদে একটি কক্ষে রাখা ১৭১.৫ কেজি ইলিশ মাছ, একটি ডিজিটাল দাঁড়িপাল্লা ও একটি ফ্রিজ জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় মাদরাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষ্যে গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এমন নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদার বলেন, মা ইলিশ ও ইলিশ সম্পদ রক্ষায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জনস্বার্থে অভিযান ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ