বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামী ৪২ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। শেখ মজিবুর রহমানের পতনের পর ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এদেশের ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যারা বাংলাদেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। সন্ত্রাসীদের জনগণ কোনো দিন মেনে নিবে না।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত পিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুলু বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনও দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। পাশের দেশে বসে বসে শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফোন করে করে কু-বুদ্ধি দিয়েছেন। চক্রান্ত করার অপচেস্টা করছেন। অন্তবর্তী সরকারের প্রতিটি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করার অপকৌশল করছেন। শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই আর কখনও সফল হবে না। এদেশের মানুষ পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে আর কখনও গ্রহণ করবে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের মানুষ গত ১৬ বছরে হত্যা, গুম, অপহরণ, বিরোধী মতাদর্শকে দমন পীড়ন, বিচারের নামে প্রহসন, দ্রব্যমূল্যেও উর্দ্ধগতি, আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন ছাড়া সাধারণ মানুষের কোনো চাকরি না হওয়া, ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেওয়াসহ সকল অপকর্ম দেখেছে। সকল অত্যাচার দেশের মানুষ নিরবে দেখেছে কোনো প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। প্রতিবাদ করলেই আওয়ামী লীগ সব শ্রেণি পেশার মানুষের ওপরে হামলা মামলা আটক করে নির্যাতন করেছে। আগামী একশ বছরেও তাই দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে গ্রহণ করবে না। আওয়ামী লীগ যেকোন বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করার চেষ্ঠা করলে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
দুলু আরও বলেন, শেখ হাসিনা পাশের দেশে বসে তার নেতাকর্মীদের ফোন করে কুবুদ্ধি দিয়ে নিজে নিরাপদে থাকলেও তার কুবুদ্ধি শুনে যদি কোনো নেতাকর্মী ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামে দেশের মানুষ তাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না। দুলু অবিলম্বে শেখ হাসিনার গণহত্যাসহ সকল মামলার বিচার শুরু করতে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা বিএনপি নেতা ও দুলুর সহধর্মিনী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন, কাজী শাহ আলম, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ