ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলনবিলে শৌখিন মৎস্য শিকারিদের পলো উৎসব

প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৯

চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়ায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাউত উৎসবে’ মেতেছেন শৌখিন মাছ শিকারিরা। অনেকে ‘পলো উৎসব’ নামেও চেনেন।

শনিবার (২ নভেম্বর) ভোরে চলনবিলে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের শৌখিন মৎস্য শিকারীরা। লোকজ রীতিতে হৈহুলোরে বিলের পানিতে মনের আনন্দে চলছে মাছ শিকার।

জানা যায়, চলনবিলে এ উৎসবে ১১টি বাস গাড়ি, ৭ টি ট্রাক ও ৪ টি পিকআপ গাড়িতে চেপে এসে প্রায় ১৫শ মাছ শিকারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একসঙ্গে মৎস্য শিকার করছেন। তাদের হাতে ছিল পলো, চাক পলো, নেট পলো, ঠেলা জাল, বাদাই জাল, লাঠি জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। বিলপাড়ে সমবেত হওয়ার পর একসঙ্গে বিলে নেমে মাছ ধরার আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ।

এ সময় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ শোল, বোয়াল, গজার, রুই, কাতলা, চিতল, পুঁটি, খৈলসা, শিং, টেংরা, পাবদা মাছ ধরা পড়ে। দুপুরের দিকে মনে বেশ আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফেরেন শিকারিরা।

মৎস্য শিকারি গাইবান্ধা পলাশবাড়ী এলাকার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি প্রায় ৮বছর ধরে মৎস্য শিকার করি। প্রতি বছর শখের বসে মাছ শিকারের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় আসি। এখানে অনেক আনন্দ হয়।

পলাশবাড়ী বাসুদেবপুর এলাকার সাহেব মিয়া তিনিও ছোট বড় কয়েকটি মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

জানা যায়, নাটোরের সিংড়া চলনবিলে, সালুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, বনারপাড়া এলাকার প্রায় ১৫শ জন মৎস্য শিকারি এসেছেন।

চলনবিল পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ফরামের সভাপতি এস.এম রাজু আহমেদ জানান, দল বেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজনে মৎস্য শিকারিদের ডাকা হয় বাউত। তাদের ঘিরেই উৎসবের নামকরণ। ভোরের আলো ফুটতেই বিলাঞ্চলে দলবেঁধে মাছ শিকারে নামেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ