ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটপাত দখল আর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, জনজীবন অচলাবস্থা

প্রকাশনার সময়: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০

বরগুনা শহরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসাবাণিজ্য আর সড়কের ওপর যত্রতত্র পার্কিং করে গাড়ি রাখার দায়ে নারী, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। শহরে অতিমাত্রায় অটোরিকশা চলাচলে তৈরি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। যানবাহনের উচ্চ মাত্রায় হর্ণ বাজানোর ফলে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠছে জনজীবন। এই অচল অবস্থা নিরসনের দাবি শহরবাসীর।

বরগুনা শহরের মাছ বাজার ব্রিজ থেক লঞ্চঘাট পর্যন্ত আধা কিলোমিটারেরও কম জায়গাজুড়ে সারাদিন লেগে থাকে যানজট। মাছ বাজারের পূর্ব পাশে, পশ্চিম পাশে, পৌর মার্কেটের সামনে ও পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় রয়েছে অবৈধ চারটি গাড়ি স্ট্যান্ড। এ ছাড়াও রয়েছে দুটি মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড। এসকল স্ট্যান্ড ও সড়কের ওপর প্রতিনিয়ত যাত্রী ওঠা নামানো ছাড়াও সড়কের দুই পাশ ধরে যত্রতত্র দাড়িয়ে থাকে অটোরিকশা ও রিকশা।

শহরের বিভিন্ন অংশে রাস্তার ওপর ভ্যান পেতে ব্যবসা করার কারণে আরো বেশি যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সরু জায়গার মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয় সকল চলাচলকারী যানবাহনের। আর এতেই সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজটের। ট্রাফিক বিভাগ ও পৌর সভা থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কর্মীরা চেষ্টা করেও আনতে পারছেনা সড়কের শৃঙ্খলা।

সড়ক ও ফুটপাত দখল থাকায় পথচারীদের চলাচল করতে হিমশিম খেতে হয়। মাঝে মধ্যে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

বরগুনা শহরে বিভিন্ন সড়কের মধ্যে মাছ বাজার থেকে শুরু করে সড়কের দুই পাশের ফুটপাতগুলোতে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল রাখায় এবং তা কেনাবেচায় কম বেশি ভিড়ভাট্টা লেগেই থাকে। মূল সড়কের মাছ বাজার, তরকারিপট্টি, ফলপট্টি, পানপট্টি, বাকালীপট্টি, সাহাপট্টি, আলাইপট্টি, লোহাপট্টি, দুধপট্টি এসকল জায়গায় দোকানীদের পসরা এবং অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় সব সময় লেগে থাকে যানজট। এসকল পথ দিয়ে সকাল বেলা ও ছুটির পর স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

বরগুনা শহরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত গাড়ি। বরগুনা পৌরসভার হিসাব মতে পাঁচ হাজারের মতন রিকশা ও অটোরিকশা লাইসেন্স থাকলেও বাস্তবে রয়েছে তিনগুণ।

বরগুনার গণমাধ্যম কর্মী সানাউল্লাহ বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়া স্বল্প পরিশ্রমে অধিক আয়ের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় দিন দিন অটোরিকশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিজ্ঞতা না থাকায় অনিয়ন্ত্রিত চালানোর ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। এটি নিরসন করতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক নিয়োগ ও গাড়ি রাখার নির্ধারিত পার্কিং করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ ও ট্রাফিক বিভাগের নজরদারি বাড়ানো উচিৎ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আ. হালিম বলেন, যানজট নিরসনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সকলের সাথে মিটিং করে জানানো হবে কে কোথায় কতটুকু চলাচল করতে পারবে। পরে এর ব্যাপ্তি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরগুনা পৌরসভার প্রশাসক ও স্হানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো. তানজিম বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শহরের যানযট নিরসনে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যত্রতত্র গাড়ি ঘুরানো বন্ধ করতে সড়কে রশি টানানো হয়েছে। এ ছাড়াও লাইসেন্সবিহীন কেউ গাড়ি চালাতে না পারে তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং পৌরসভার লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাড়ি আলাদাভাবে চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে আসার পরপরই শহরে নাগরিক চলাচল উপযোগীতে ফুটপাত মুক্ত করা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ