কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাদেকপুর গ্রামে তিন ভাইয়ের দখলে থাকা কালি মন্দিরের ৩ শংতাশ জায়গা ১৫ বছর পর দখলমুক্ত হয়েছে। আদালতে মামলার রায়ে ভৈরব সহকারী জজ আদালত বাজিতপুর চৌকি নাজির নাঈম চৌধুরী উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জায়গাটি দখলমুক্ত করেন।
আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় দিকে উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কালি মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
ভৈরবের সাদেকপুর গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কালি মন্দিরের জায়গা দখল করে রেখেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর তিন দখলবাজ ভাই। সাড়ে তিন বছর আগে মামলার পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখল মুক্ত হলো সাদেকপুর গ্রামের পাঁচশত হিন্দু ধর্মাবলম্বীর প্রার্থনার স্থান কালি মন্দিরের জায়গা।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় করেন ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকি নাজির নাঈম চৌধুরী। এ সময় অভিযানে সহযোগিতা করেন, ভৈরব থানার এসআই মো.তোফায়েল আহমেদ, ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকি প্রসেস সার্ভার মো.নজরুল ইসলাম, আমিন কমিশনার মাহবুরুর রহমান, ঢলি আশেক আলী প্রমুখ। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। সাদেকপুর কালি মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ সরকার বলেন, ১৫ বছর পর অবৈধ দখলবাজদের হাত থেকে কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা আজ আদালতের রায়ের মাধ্যমে দখল মুক্ত হলো। অনেক বছর জায়গা বেদখল থাকায় মন্দিরের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়নি। এখন আর কোনো বাধা রইল না। আজকের দিনটি আমরা হিন্দু সম্প্রাদয়ের ৫ শত পরিবারের অত্যন্ত আনন্দের দিন। সেজন্যই দেশের সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকির নাজির নাঈম চৌধুরী জানান, সাদেকপুর কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আসছিল তাদেরই সম্প্রাদয়ের তিন ভাই। সাড়ে তিন বছর আগে দখলের অভিযোগে মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। এ মামলার রায়ে মন্দিরের জায়গা দখলকৃতদের কাছ থেকে উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ