ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঘূর্ণিঝড় দানা: পটুয়াখালীতে শীতকালীন সবজির ক্ষতির সম্ভাবনা

প্রকাশনার সময়: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:২০

প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতে ব্যাহত জনজীবন। সকাল থেকে আকাশে রয়েছে মেঘের ঘনঘাটা। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা, বিপাকে পড়েছে দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষেরা।

নদ-নদীর পানির উচ্চতাও কিছুটা বাডলেও তা বিপদসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। সকল মাছধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে জনজীবন নিরাপত্তায় ৮২৯ টি সাইক্লোন সেল্টার সহ সিপিপি সেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় দানা ও পূর্ণিমার প্রভাবে পটুয়াখালী পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান সহ জেলার বিভিন্ন নিন্মাঞ্চলে পানি ওঠায় জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিত্যদিনের তুলনায় বেচা বিক্রি কমে গেছে। রিকশাচালক থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের কাজ অনেকটাই শিথিল অবস্থায় রয়েছে। এতে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার ১০ কি.মি. অরক্ষিত ভেড়িবাঁধ ও শীতকালীন সবজিতে কিছুটা প্রভাব পরতে পারে।

এ ছাড়া তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জেলার বিভিন্ন নদনদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে কম রয়েছে। যার জন্য জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তবে জেলার ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় যদি জলোচ্ছ্বাস হয় তবে কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আর ওই ১০ কিলোমিটার অরক্ষিত বেড়িবাঁধ অস্থায়ীভাবে কাজ করলে কোন লাভ হবে না। এই বেড়িবাঁধগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত করতে হবে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন।

এদিকে পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় বর্তমানে মাঠে আমন ধান রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে ও শীতকালীন শাক সবজি রয়েছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যদি দুই এক দিন টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা হয় তবে বিভিন্ন জায়গায় আমন ধানের ক্ষতি হতে পারে।

এ ছাড়াও মাঠে যে শীতকালীন শাকসবজি রয়েছে তার ক্ষতি হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে প্রায় ৯০ কি.মি. বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে এর প্রভাব সুন্দরবন অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও টানা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা নিম্নচাপের পরে একটি স্বাভাবিক ঘটনা।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ