ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় উপকূল

প্রকাশনার সময়: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নদী বেষ্টিত উপকূলের মানুষের মধ্যে বেড়েছে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা। গতকাল সকালের মুষলধারে বৃষ্টি ও মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত টানা বৃষ্টি বাড়াচ্ছে শঙ্কা। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উড়িষ্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভিতরে আঘাত আনতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় দানা বর্তমানে শ্যামনগর থেকে ৩৯৮, কালিগঞ্জ থেকে ৪১১, আশাশুনি ৪২৪ ও দেবহাটা ৪২৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় দানা উপকূল অতিক্রম করার সময় সাতক্ষীরার উপকূলে অঞ্চলে ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার অন্তর দমকা হাওয়া ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

যদি নদীতে ভরা জোয়ারে এটি উপকূল অতিক্রম করে তাহলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা আছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

শ্যামনগরে প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে যার মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ সাতটি পয়েন্ট নজরদারিতে রেখেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ইতোমধ্যে সবগুলো পয়েন্ট সংস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত বা বাঁধ ভেঙে গেলে তাৎক্ষণিক সংস্কারের জন্য ৩ হাজার জিও বস্তা, ২ হাজার প্লাস্টিক বস্তা ও ১০টি জিও রোল আছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইমরান সরদার।

গতকাল উপজেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছেন। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব দাস জানান, শ্যামনগরে অবস্থিত ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার ও ২হাজার ৯৮০ জন সিপিপিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। আবহাওয়ার সংকেত প্রচারের সমস্ত সরঞ্জামাদিসহ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জন্য পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম ও উদ্ধারকর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব দাস উপজেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতে ব্যস্ত আছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

খুলনার ও সাতক্ষীরা উপকূলে ইতিপূর্বে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৩ সালের ১৬ মে মহাসেন, ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই কোমেন, ২০১৬ সালের ২১ মে রোয়ানু, ২০১৭ সালের ৩০ মে মোরা, ২০১৯ সালের ৩ মে ফণী, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর বুলবুল, ২০২০ সালের ২০ মে আম্পান, ২০২১ সালে ২৬ মে ইয়াস, ২০২২ সালের ১২ মে অশনি, ২০২৩ সালের ১৪ মে ‘মোখা’ ও সর্বশেষ সাতক্ষীরা উপকূলে ২০২৪ সালের ২৬ মে সন্ধ্যা থেকে ২৭ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এবার এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে দানা।

এবার ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ভারতের উড়িষ্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে বলে অনেকটা স্বস্তিতে উপকূলের মানুষ তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগের মদতাই প্রস্তুতি রাখছে তারা।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ