ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আশুলিয়ায় দুই দিন ধরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, মেলেনি আশ্বাস

প্রকাশনার সময়: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৩৬

‘হয় আমাদের বেতন দেও নইলে গদি ছেড়ে দেও, শ্রমিক কেন রাস্তায় প্রশাসন জবাব চাই।’ বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের এমন স্লোগানে দুই দিন ধরে উত্তাল আশুলিয়ার বাইপাইল।

আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বাইপাইল মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, গতকালের মতো আজো শতশত শ্রমিক সড়কটি দখল করে বসে আছেন। কেউ কেউ মাইকে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। রাতেও তারা এখানেই ছিল। এতে গতকাল থেকে আজ অব্দি উত্তাল রয়েছে বাপাইল এলাকা। বন্ধ রয়েছে এ সড়কে চলাচলরত যানবাহন।

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লি. নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রিমোড়ে অবস্থান নিয়ে গতকাল সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। ফলে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে। এতে চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ। গণপরিবহনসহ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে দুই দিন ধরে। এদিকে শ্রমিকরা জানিয়েছন, সড়ক অবরোধের ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কারখানা মালিক এবং প্রশাসনের পক্ষ হতে কোনো আশ্বাস মেলেনি। ফলে যতদিন তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হবে ততদিন তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে গেলে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। তবে এখন পর্যন্ত কারখানা খুলে দেয়নি, বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেনি।’

গত তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। বাসা ভাড়া ও দোকান বাকি থাকায় অনেকটাই না খেয়ে দিন পার করছি। কোথাও চাকরি নিতে পারছি না। বেতন বোনাস পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। গত মাসে বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু তিন মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে এসেছি। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।

ফয়সাল নামের একজন শ্রমিক বলেন, গতকাল সকাল থেকে আমরা রাস্তায় আছি, এখনো কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি।আশ্বাসও দেয়নি। আমাদের পাওনা টাকা না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তায় থাকবো।

নূরনাহার বলেন, দুই দিন ধরে বাইপাইল রাস্তায় আছি।রাতেও এখানেই ছিলাম। এর মধ্যে নাওয়া খাওয়া নেই। যতদিন টাকা না পাবো ততদিন এখানেই থাকব। বাসায় গিয়ে কি করব? দোকান বাকি এবং বাসা ভাড়ার টাকার জন্য কথা শুনতে হয়। বাসায় চাউলও নেই খাব কী!

পুলিশ জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি শিল্প পুলিশ ও জেলা পুলিশ রয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ