ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জেলেরা লগি-বৈঠা দিয়ে ধাওয়া দিল মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশকে  

প্রকাশনার সময়: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:০৭

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশকে জেলেরা লগি-বৈঠা দিয়ে ধাওয়া ও ইটের আদলা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ইলিশ প্রজনন সময় কালে মৎস্য শিকার, আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞা সময় চলাকালীন দশমিনা উপজেলায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌপুলিশ ফাঁড়ি নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ঢনঢনিয়া কেদির হাঠৎ খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ওই খালে নৌকা আটক করতে গেলে ওই এলাকার এক থেকে দেড়শত জেলেরা লগি-বইঠা নিয়ে ধাওয়া দেয় এবং তাদের লক্ষ্য করে ইটের খোয়া নিক্ষেপ করেন। এতে করে মৎস্য ও নৌপুলিশ ঘটনা স্থল থেকে চলে আসে। এ ঘটনায় কেহ হতাহত হয়নি।

উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, ঢনঢনিয়া খালে অভিযান পরিচালনার সময় ওই এলাকার মৎস্যব্যবসায়ী রমিজ ও আল-আমিন মুন্সি এক থেক দেড় শতাদিক লোক নিয়ে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল না থাকায় ফিরে আসতে হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ঢনঢনিয়া কানাই খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংবাদ পেয়ে ঢনঢনিয়া খালে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে গিয়ে দেখি সাত-আটটি নৌকায় জাল। নৌকার কাছে গেলে ওই এলাকার জেলেরা লগি-বইঠা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে এবং ইটার খোয়া মারে আমরা চলে আসি। আমারা এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ঘটনার বিষয় আমাকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবহিত করেন। অবরোধের সময় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম জানান,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমাকে ঘটনার বিষয় জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি দেখছি।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ