বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে নগদ অর্থ আত্মসাৎকারী অভিলাষ মোহন দাস নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখ্যপ্রাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।
গ্রেপ্তার অভিলাষ মোহন দাস (৪৫) জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাইলোড়া গ্রামের দীনেশ মোহন দাসের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আনুমানিক দুই বছর আগে অভিলাষ মোহনের সঙ্গে গৌরীপুর উপজেলার হিম্মতনগর গ্রামের মো. হারুণ অর রশিদের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে অভিলাষ অর্থের বিনিময়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা জানান। পরে শ্যালকের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজর টাকার বিনিময়ে সেই প্রস্তাবে রাজি হোন হারুণ। গত ২৩ সালের ১ জানুয়ারি কয়েকজন সাক্ষীর সামনে চাকরির আশায় অগ্রিম নগদ এক লাখ টাকা দেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও চাকরি না হওয়ায় হারুণ অভিলাষের কাছে চাকরির বিষয়ে এবং সেই টাকা চাইলে তিনি তালবাহানা করেন।
সাম্প্রতিক পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে প্রতারক অভিলাষ আবারও হারুণকে ফোন করে বলে তার শ্যালকসহ আরো প্রার্থী থাকলে তাদেরকেও অর্থের বিনিময়ে চাকরি নিয়ে দেবে। পরে হারুণ শালিকে নিয়ে অভিলাষের কথা মতো গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌর শহরের সাতপাই কালীবাড়ী মন্দিরের সামনে যান।
তবে এরমধ্যে হারুণ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, অভিলাষ একজন প্রতারক এবং তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
সাতপাই এলাকায় প্রতারক অভিলাষের সাথে দেখা করে শ্যালকের চাকরির জন্য দেয়া এক লাখ টাকা ফেরৎ চাইলে প্রতারক টাকা দিবে না বলে উল্লেখ করে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটকে রেখে সেনাক্যাম্পে সংবাদ দেয়। পরে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ অভিলাষকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয়।
জেলা পুলিশের মুখ্যপ্রাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, এই ঘটনায় হারুণ লিখিত অভিযোগ করায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ