কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে হঠাৎ ৫ মিনিটের ঝোড়ো বাতাস ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে জিনারী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিসহ ঝোড়ো বাতাস ওই অঞ্চলে আঘাত হানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন থাকলেও উত্তর দিকের জিনারী ইউনিয়ন ও সিদলা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। এতেই শুরু হয় তান্ডব। উপড়ে গেছে অনেক গাছপালা। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। সেই সঙ্গে আমন ফসলের ও ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এ ঝড়ে উপজেলার নামা জিনারীর কেরামত আলীর পুরাতন বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, পেঁপে আম, জাম, কাঁঠাল, রেন্টি গাছ ভেঙেছে। খাপাড়ার আব্দুর রশিদের বসত ঘর, গোয়াল ঘর, রান্না ঘর, পরিবারের লোকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ গাবরগাঁও গ্রামের জেসমিন আক্তার পুষ্পর রান্নাঘর, গাছপালা, আওয়াল মিয়ার পুরাতন বসতঘরসহ অনেক পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গাবরগাঁও, নামা জিনারী, হলিমা, ডাকরীয়া, বেলতলা, টেকাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
নামা জিনারীর বাসিন্দা মো.শামসুল ইসলাম জানান, রাত ৭.৪৫ এর দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি আসে। চোখের পলকেই গাছপালা ও বাড়িঘর ভাঙতে থাকে। গ্রামের অনেক বাসিন্দার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকের আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মাসুদ রানা জানান, জিনারি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় রাতে ঝড়ের কারনে পোল ভেঙে যায় ও লাইনের উপরে গাছপালা পড়ায় ওই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। আমাদের টিম সচল করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মণ্ডল জানান, রাতের আকস্মিক ঝড়ে জিনারী ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা দেয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ