নড়াইলের লোহাগড়ায় চর-বালিদিয়া গ্রামের মাছ ধরার ভেশাল জাল পাতাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ২০ আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে শুক্রবার (১৮অক্টোবর) সকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুরুতর আহতদের নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে শুক্রবার (১৮অক্টোবর) সকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, জানা গেছে, উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চর বালিদিয়া গ্রামের মাতুব্বর লিটন মোল্যা ও আবুল মুন্সির গ্রুপের সাথে শহিদুল ও পাখি মোল্যার গ্রুপের লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ইছামতি বিলে ভেশাল জাল পাতাকে কেন্দ্র করে পাখি মোল্যা সমর্থিত শাহাবুদ্দিন মোল্যার সাথে আবুল মুন্সি সমর্থিত হেলাল মুন্সির কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন রাতভর ঢাল শড়কি যোগাড় করাসহ মারামারির প্রস্তুতি নেয়।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয় চর-বালিদিয়া বাজারে দুই পক্ষের লোকজন ঢাল শড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত শহিদুল, দিদার, সিরাজ, লিটন, মনোয়ারা বেগম, কবির মোল্যা, রোকন, হারুনকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় লাহুড়িয়া ও নলদী বাজারে গ্রাম্য ডাক্তাদের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে নলদী ফাঁড়ি ও লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে নড়াইল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এবং মাগুরা ও নড়াইল থেকে সেনাবাহিনীর চার গাড়ি সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয় পক্ষের ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ