গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঘুমন্ত স্ত্রী ও শাশুড়ির শরীরে আগুন দেয়ার ঘটনায় স্ত্রী মোরশেদা বেগম ও শাশুড়ি ফুলজান বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মোরশেদা ও রাত ৮টায় ফুলজান বেগম মারা যান।
গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার রতনপুর এলাকায় স্ত্রী-শ্বাশুড়ির শরীরে আগুন দিয়ে ঘরের বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান তানভীর আহাম্মেদ নামে এক যুবক।
আজ শুক্রবার ১৮ (অক্টোবর) সকালে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সদর এলাকার তানভীর আহাম্মেদের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় নাটোর সদরের লক্ষ্মীপুরা এলাকার মুকুল আলীর মেয়ে মোর্শেদা বেগমের। মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়ে রতনপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ফুলজান বেগম। একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি। কিন্তু তানভীরের কোনো কাজ ছিল না।
পারিবারিক কলহের জের ধরে কয়েক মাস ধরে ফুলজান ও তার মেয়ে মোর্শেদার সঙ্গে থাকেন না তানভীর। এরই মধ্যে স্ত্রী মোর্শেদা তাকে তালাক দেন। তালাকের খবর পেয়ে তানভীর গত বুধবার রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের জানালা দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী ও শাশুড়ির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তারা যেন ঘর থেকে বের হতে না পারে সেজন্য ঘরের বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এ সময় ফুলজান ও মোর্শেদার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোর্শেদা বেগম। পরে রাত ৮টার দিকে মারা যান ফুলজান বেগম।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তানভীর তার স্ত্রী ও শাশুড়ির গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ