ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

যেই সরকার গঠন করে সেই রাবন হয়: ভিপি নূর

প্রকাশনার সময়: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০০

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ওরফে ভিপি নূর বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০১৮ সালে জন্ম ও নেতৃত্ব দিয়েছি আমরা। সরকারি সরকারি চাকরিতে এ বৈষম্য এটা পরিবর্তন দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো ৫০ বছরে যারা পালাক্রমে ক্ষমতায় ছিলে, যেই লংকায় যায় সেই রাবন হয়। যেই সরকারে যায় পুলিশ বলেন প্রশাসন বলেন সব তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়, দলের একটি আদিপত্যসহ সব কিছুতে তাদের নিয়মে পরিচালনা করার চেষ্টা করে। যার ফলে তাদের দাপুটে সাধারণ মানুষ অসহায় থাকে। শুধু হাসিনার ১৫ বছর শেখ হাসিনার আমলে নয়, ঘুরে ফিরে দেখে গেছে যে দল ক্ষমতায় ছিলে তাদের আমলেও একই অবস্থা ছিলে ।

বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নলিন বাজারে নঈম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গণ অধিকার পরিষদের আয়োজনে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অন্তবর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের দরকার নয়৷ এ সরকার জাতীয় নির্বাচন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় গিয়ে দ্বৈত দানব ও জমিদার হয়ে ওঠে। তারা যেন দানব ও জমিদার হতে না পারে তার জন্য আমরা বলছি সংসদে একটা ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দল জনগণের ভোট পাবে তারা যেন সংসদে থাকতে পারে, তার জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের একটা বিধান৷ অর্থাৎ কোন দল যদি সারা বাংলাদেশ এক ভাগ ভোট পায়, সেই দলের তিনজন সংসদ সদস্য প্রার্থী থাকবে৷ কোন ছোট দল যদি ১০ ভাগ ভোট পায় ৩০০ আসনের তিনগুণ ৩০ জন এমপি থাকবে৷ তাহলে সংসদে কোনো একক দলের মাতব্বরি থাকবে না৷ এই অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনি ব্যবস্থা দুই একটি দল ছাড়া সব দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে।

ভিপি নূর বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে নিজেকে আল্লাহ খোদা পর্যায়ে নিয়ে মানুষের ওপর যেভাবে জুলুম ধরন পিড়ন করেছে নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে দেশে যে একটা রাম রাজত্ব চালিয়েছিলো আল্লাহ খোদাকে ভয় করেন নাই এ রকমভাবে আবার কেউ করেনি। নিজেকে প্রায় নমরুদের কাতারে নিয়ে গেছিলে। চুরের মতো তারা এখন প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াতে পারে না। ক্ষমতায় থাকতে বাহাদুর, ক্ষমতা চলে গেলে ফকিরের সমান দাম দেয় না মানুষ।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য এক বছর দুই বছর সময় লাগে আমরা সরকারকে তা দেব। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যাপক মাত্রার উৎপাত দেখছি৷ ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণেও আওয়ামী লীগের মতো অনেকেই হুমকি দেয়া হচ্ছে। আবার বাজারে, গার্মেন্ট, মিল কারখানায় চাঁদা তোলা হচ্ছে। এ চাঁদাবাজদের নিমূল করার জন্য এ সরকার সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদের ৩০০ আসনেই প্রার্থী থাকবে। আমারা দেখছি দেশের মানুষ বিকল্প কিছু চায়৷ নতুন রাজনৈতিক বন্ধবস্ত চায়৷ এ পরিবর্তন নতুনরা যে সংগ্রাম ও নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই তরুণদের মাধ্যমে আগামীতে রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে হবে। গতানুগতিক পুরনো রাজনীতি দিয়ে দেশ চলবে না। তরুণ প্রজন্ম যে বিশ্ব ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় এখানে তরুণদের নেতৃত্ব দিতে হবে।

পরিষদের উচ্চতর সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, অর্থ সম্পাদক ফাহিম, টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মো. সজীব, টাঙ্গাইল জেলা বার সমিতির সদস্য ও কেন্দ্রীয় আইনজীবী পরিষদের সদস্য আসাদ ইসলাম প্রমুখ।

পথসভা শেষে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ইমনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ