ইলিশের বাঁধাহীন প্রজনন, উৎপাদনে সম্প্রসারণ, সামুদ্রিক সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরনের জন্য আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে সাগর নদীতে আগামী ২২ দিন সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। আর এ সময়ে আইন অমান্যকারী ব্যক্তি ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ফলে অবরোধ পালনে গতকাল বিকাল থেকেই পটুয়াখালীর বৃহৎ মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুরের ঘাটসহ খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নোঙ্গর করেছে সহস্রাধিক মাছধরা ট্রলার। তবে অবরোধ শতভাগ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষে ইতোমধ্যে পোস্টারিং, ব্যানার, সচেতনতামূলক সভা ও মাইকিংয়ের কাজ সমাপ্ত করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে কলাপাড়া উপজেলায় নিবন্ধনকৃত জেলের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০৫ জন। আর অবরোধ চলাকালীন সময়ে এই জনগোষ্ঠির জন্য সরকারের দেওয়া প্রণোদনার অংশ হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে গেছে। এবং দ্রুতই এই চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হবে।
তবে জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়াতে দারুণভাবে বেকায়দায় পরবেন মৎস্য শিকাওে নির্ভরশীল পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে ভরা মৌসুমেও সাগরে মাছের আকাল থাকায় ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন জেলেরা। ফলে পেশা বদল করে পিকল্পধারায় জীবীকা নির্বাহের কথা ভাবছেন মৎস্য শিকারিরা। তাই ২২ দিনের অবরোধে জেলে প্রতি ২৫ কেজি করে বরাদ্দের চাল দেওয়া নামে মাত্র প্রহসন ছাড়া কিছুই নয় বলে অভিযোগ সমুদ্রগামী মানুষের। মহিপুর ঘাটের জেলে ইব্রহিম বলেন, ২২দিনের অবরোধে মাত্র ২৫ কেজি চাল দেয় সরকার। তা দিয়ে এই কয়দিন সংসার চলবে বিভাবে? রুস্তম মাঝির জানান, ট্রলারে মাছ ধরে গত বছর বহু টাকা ঋণ হয়েছে তার।আবার ২২ দিনের অবরোধে এই ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যাবে। তাই অবরোধকালীন সময়ে জেলেদের জন্য প্রণোদনা বাড়ানোর জোড় দাবী মৎস্য সংশ্লিষ্ট সকল মানুষের। এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ২২ দিন সকল ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ। কিন্তু এৎ সময়ে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এছাড়া প্রণোদনা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন বলে জানান তিনি।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ