ঢাকা, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

নিখোঁজ শিক্ষকের বস্তাবন্দি মরদেহ মিললো পুকুরে

প্রকাশনার সময়: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৫

কক্সবাজারের পেকুয়াতে নিখোঁজের ১৩ দিন পর অপহৃত শিক্ষকের বস্তাবন্দি মরদেহ মিলেছে তার নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুরে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ (৪৭) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া এলাকার মরহুম মাস্টার বজল আহমদের ছেলে। তিনি পেকুয়া সেন্টার কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অহরণ করা হয়েছে জানিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে তার পরিবার থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।

শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তার বড় ভাই পেকুয়া সদরের চৌমুহনীতে অবস্থান করেছিল বলে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে জেনেছে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ এবং ফোন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও না পেয়ে তার স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার বাদী হয়ে থানায় প্রথমে ডায়রি করেন। তিনদিন পর অপহরণ মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হয় ডায়রিটি। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুরে বস্তা দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক আরিফের কোন শত্রু ছিল না। কি কারণে, কারা তাকে হত্যা করা করলো বুঝতে পারছি না। তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমদের পরিবারের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এজন্য ভাইয়ের এমন নৃশংস মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের সন্দেহের দৃষ্টি তাদের (জাহাঙ্গীরদের) দিকে। অজ্ঞাত বিষয়টি তদন্ত করে বের করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি করছি।

অপরদিকে, শিক্ষক আরিফের মরদেহ পাওয়ার পর সন্ধ্যায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমদের দুটি বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ মাতবরপাড়াবাসী। লুটপাট চালানো হয়েছে তার ভাড়া দেয়া চৌমহনীস্থ পরীস্থান টাইলস ও নাজিম ভাতঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

অভিযোগের বিষয়ে ফোনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে পরিবারের সবাই এলাকা ছাড়া। যেখানে এলাকায় নেই, সেখানে নৃশংস এমন হত্যাকাণ্ডের দোষ আমাদের ওপর চাপানো অনৈতিক। দেশের এমন পরিস্থিতে আরিফকে কারা হত্যা করেছে তা বের করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি করছি।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত হতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৫ দিন আগে মরদেহটি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ