চট্টগ্রামের জেএম সেন হল পূজামণ্ডপের সাংস্কৃতিক মঞ্চে ইসলামি গান পরিবেশন নিয়ে বিতর্কের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এদের দুজনকে গ্রেফতারের তথ্য জানা গেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার কয়েকজন ব্যক্তি পূজামণ্ডপের সাংস্কৃতিক মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশনা করে। রাতের মধ্যে গান দুটির খণ্ডাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটিকে ইসলামি ভাবধারার সংগীত ভেবে প্রতিবাদ শুরু করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ নেটিজেনরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাতেই ওই পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে সংগঠনটি মঞ্চে গান পরিবেশন করা হয়। অপ্রীতিকর এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে পূজা উদযাপন পরিষদ। অনুমতি প্রদানের জন্য সজল দত্তকে কমিটি থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন সংগঠনের নেতারা।
ঘটনার পর পরই জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তারা যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হবে। রাতের মধ্যেই তাদের নামে মামলা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি অস্বীকার করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি এ ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছে ছাত্রশিবির।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার নিন্দা জানায় ছাত্রশিবির। ওই পূজামণ্ডপে আমাদের কেউ যায়নি। তাই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি, এর সঙ্গে শিবির জড়িত নয়।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ