ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেষ মুহূর্তে রং-তুলির আঁচড়ে সাজছে প্রতিমা

প্রকাশনার সময়: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৭

শেষ মুহূর্তে নাটোরের লালপুরে মণ্ডপে মণ্ডপে রং-তুলির আঁচড়ে প্রতিমা সাজসজ্জার কাজ চলছে। প্রতিমা ও মণ্ডপ তৈরির প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

রোববার (৬ অক্টোবর) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, লালপুরের মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে পর্যায়ে, রং তুলির আঁচরে প্রতিমা সাজানোর কাজ করছেন কারিগররা। এ ছাড়া বাঁশ, বেত, তালপাতা, খড়, কাগজসহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর কাজ চলছে।

লালপুরের গোপালপুর পৌরসভাসহ ১০ টি ইউনিয়নে ৪০টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুই সপ্তাহ আগে থেকে মণ্ডপে মূর্তি নির্মাণের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে প্রতিমাগুলো প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে।

লালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দ্বিপেন্দ্র নাথ বলেন, এই বছর দেবী দূর্গার আগমন ঘোটকে, যার অর্থ ছত্রভঙ্গ (সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির এলোমেলো অবস্থা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, অশান্তি, বিপ্লব ইত্যাদির সংকেত। ফিরবেন দোলায় যার অর্থ মড়ক কিংবা মহামারী।

প্রতিমা শিল্পী শ্রী সঞ্জিত কুমার জানান, এ বছর তিনি ১০টি প্রতিমা তৈরির চুক্তি নিয়েছেন। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে ১৬ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকার চুক্তি করেছেন। তার সাথে আরো ৩ জন প্রতিমা তৈরি করার কাজ করেন।

প্রতিমা নির্মাণকারী সাগর বলেন, একটি বড় মূর্তি তৈরি করতে সময় লাগে সাত থেকে ১০ দিন। অন্যদিকে এক একটি ছোট মূর্তি চার থেকে ছয় দিনে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে মূর্তি তৈরির প্রাথমিক কাজ চলছে। রঙের কাজ শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ে মণ্ডপের প্রতিমা বসানো হবে।

বিলমাড়িয়া ঘোষপাড়া গ্রামের প্রতিমা নির্মাতা অসিত বিশ্বাস বলেন, ধরণ অনুযায়ী প্রতিটি মূর্তি তৈরিতে নিচ্ছেন ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তিনি ৭টি প্রতিমা তৈরি করছেন। প্রতিমা তৈরিতে এঁটেল ও বেলে মাটি ছাড়াও বাঁশ-খড়, ধানের কুঁড়া, দড়ি, লোহা, পাট, কাঠ, রঙ, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি-কাপড়ের প্রয়োজন হয়। সারা বছর অপেক্ষার পর এ সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যয় বাড়লেও সে হারে মজুরি বাড়েনি।

উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, সকল নিয়ম মেনে এ বছর উপজেলায় ৪০টি মন্দিরে দূর্গা পূজার উদযাপিত হবে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও ভ্রাম্যমাণ দল তৎপর থাকবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ