শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় রং তুলির আচড়ে দেবীকে সাজিয়ে তুলতে নির্ঘুম রাত কাটাছেন প্রতিমা শিল্পীরা। আর মাত্র ৬ দিন পর ৯ অক্টোবর থেকে পূজার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে। এবার ৩৯টি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার পৌরসভার ও ১২টি ইউনিয়নে ৩৯টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন পূজা মণ্ডপ হচ্ছে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কোয়া পোদ্দার বাড়ির সর্বজনীন মণ্ডপ। এই বছর এ মণ্ডপে ১৪৪ তম শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছে।
পূজা মণ্ডপ কমিটির নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরে হিন্দুদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি দেখা দেয়। এখন আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছি। তাই অন্যান্য বছরের মতো আলোক সজ্জা, দৃষ্টিনন্দন গেইট, প্যান্ডেল বাদ দিয়ে সীমিত পরিসরে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিমা শিল্পী কালু গোস্বামী জানান, ভয়ের মধ্যে দিয়ে শেষ মুহুর্তে এসে তাড়াহুড়ো করে কাজ করে রঙের ছোঁয়ায় প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলা হচ্ছে। দেবীকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারলেই কাজ করে নিজের মধ্যে শান্তি আসে।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা জানান, উপজেলার ৩৯টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শিল্পীরা শেষ মুহুর্তের রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে প্রতিমার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। প্রশাসনের কাজ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রতিটি মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল থাকবে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপে বিশেষ নজরে রাখা হবে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম বলেন, যেকোন অপতৎপরতা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ