ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লালমনিরহাটের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় ঢুকছে তিস্তার পানি

প্রকাশনার সময়: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০৩

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। দেশের বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাসহ তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। আজ শনিবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাসহ তিস্তার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতো, গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে ৭২ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী এক-দুদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে তিস্তার বিস্তৃণ চরাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এতে চরের বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। চরাঞ্চলে থাকা সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া আশঙ্কা করা হচ্ছে তিস্তার বাম ও ডান তীরে নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা দেখা দিতে পারে।

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বাড়ি এলাকার বাসিন্দা এনারুল ইসলাম (৪৮) বলেন, তিস্তার ভয়াল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে ১৫ বছরে কতজন এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। এখন তিস্তায় পানি বেড়ে আমাদের এলাকায় প্রবেশ করেছে। বাড়িঘর, রাস্তায় পানি থাকায় চলাফেরাসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ