রাজশাহীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রা রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তাটি খানা-খন্দে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার গর্তে পানি জমছে। রাতের আধারে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। পুরো রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী নগরীর অন্যান্য রাস্তা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেই মেরামত করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রা রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। দেখে মনে হয় এখান দিয়ে কোন কার্পেটিং রাস্তা নেই।
অথচ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। সেইসাথে মানুষজন চলাচল করে প্রচুর। অথচ দীর্ঘদিন এই রাস্তা খানাখন্দে ভরা থাকলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন হয়ে বসে আছেন। ফলে নগরীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রা রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার এখন বেহাল দশা বিরাজ করছে। রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় চরম বিপদগ্রস্ত. উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়েছেন যানবাহন চালক, মালিকগণসহ স্থানীয় জনতা। রাস্তার গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় অনেক সময় যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে। পথচারীরও বিপদে পড়ছেন। ছোট ছোট যানবাহন যেমন অটো-রিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এই রাস্তায়। ফলে স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে অতিষ্ঠ জীবন-যাপন করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা।
ওই এলাকার ছোটবনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা রকি, আব্দুল আউয়াল নয়া শতাব্দীকে জানান, “রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রা রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। পুরো রাস্তায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা-খন্দ তৈরি হয়েছে। এখন রাস্তায় ভয়ানক গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার গর্তে পানি জমছে। রাতের আধারে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। পুরো রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় এই রাস্তায় অটো-রিকশা চলাচল করতে পারে না। তাই বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যেতে অনেক সময় হেঁটে যেতে হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের। অচিরেই এই রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানান তারা”।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এ রাস্তা দিয়ে কোন রিক্সা বা অটো আসতে চায় না। ফলে ঘরমুখো যাত্রীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে পারে না। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়। দীর্ঘদিন থেকে সড়কের বেহাল দশা হলেও দেখার কেউ নেই এবং এই সড়কটির নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। শহরের নানারকম উন্নয়ন হলেও এই রাস্তাটি অবহেলায় অযত্নে পড়ে রয়েছে বলে জানান তারা।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর এই রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এরিয়ার এই রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। বর্তমান সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় এই রাস্তাটি চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে।
রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু নয়া শতাব্দীকে বলেন, “এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। অচিরেই চার লেন সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে”।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ