ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জিআই পণ্য স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস

প্রকাশনার সময়: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৮

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসবে স্বীকৃতি পেলো টাঙ্গাইলের মধুপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যের আনারস। লাল মাটির অঞ্চল হিসেবে যেমন মধুপুরের নাম রয়েছে তেমনি আনারসেরও রয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্য ও সুনাম। এতে চাষাবাদে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারের ভৌগোলিক নির্দেশক ইউনিট গত ২৪ সেপ্টেম্বর মধুপুরের আনারস জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি সনদ প্রদান করেছে।

জানা যায়, বাংলাদেশে সর্ব প্রথম আনারস চাষের গোড়াপত্তন হয় ১৯৪২ সালে। মধুপুরের ইদিলপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গারো সম্প্রদায়ের মিজি দয়াময়ী সাংমা প্রথম আনারস চাষ শুরু করেন। তিনি ভারতের মেঘালয়ে আত্মীয় বাড়ি থেকে ৭৫০টি চারা এনে নিজ বাড়িতে আনারস চাষ শুরু করেন। সেই চাষকে সমৃদ্ধ করে বতর্মানে বিভিন্ন অঞ্চলে আনারস চাষ হয়ে থাকে।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ বলেন, মধুপুরের প্রথম আনারসের চাষ শুরু হয় ইদিলপুর গ্রামে। এরপর থেকেই আনারস চাষের বিস্তৃতি ঘটে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে আনারস চাষ জৈবিক উপায়ে করার পরামর্শ দেন তিনি।

কৃষক গারো বাজারের ছানোয়ার হোসেন বলেন, মধুপুরের আনারস যেভাবে চাষাবাদ বাজারসহ প্রভৃতি হওয়ার কথা ছিল তা আশানুরূপ হচ্ছিল না। ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় একটা আশার জায়গা তৈরি হলো। আনারসের ইতিহাস ঐতিহ্য দেশ এবং বিশ্বে বহুগুণ বেড়ে গেল। মধুপুরের উচ্চতায় যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো যাবে বলে তিনি মনে করেন।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্মী বলেন, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া মানে ভৌগোলিক নির্দেশক। আনারস তো মধুপুর ছাড়াও সিলেট, পার্বত্য এলাকা ছাড়াও আরো বিভিন্ন জন্মে থাকে। এখন আনারস মানে দেশে এবং বিশ্ব বাজারে মধুপুরের আনারস। আনারস আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির যে চেষ্টা চলছিল, সেই সম্ভাবনার দ্বার এখন খুলে গেল।

এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই স্বীকৃতিলাভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মধুপুরের আনারসের জিআই জার্নালের জন্য অনুমোদিত হওয়া মধুপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের। এখন বিশ্বে মধুপুরের আনারসের বাজার সৃষ্টি হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ