ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিয়োগ বাণিজ্য-অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশনার সময়: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৫৭

জামালপুরের মাদারগঞ্জে নুরুন্নাহার মির্জা কাশেম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগমের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, কলেজে অনুপস্থিতি, অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাত্র-জনতার আয়োজনে মাদারগঞ্জ পৌর শহরের নুরুন্নাহার মির্জা আবুল কাশেম কলেজের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বকুল, মোস্তাফিজুর রহমান, ফাহাদ হোসেন প্রমুখ।

নুরুন্নাহার মির্জা কাশেম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ছোট বোন।

মানববন্ধনে বক্তরা ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নুরুন্নাহার মির্জা কাশেম কলেজের অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম চলতি বছরের ১৭ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএড (প্রফেশনাল) প্রভাষক শাখায় ২৫ লাখ টাকা নিয়ে নুরুজ্জামান, আসমাউল হুসনা, মামুনুল ইসলাম মামুন, জুবাইদুল, মোহাম্মদ হাসানুজ্জামন নামে ৫ জনকে নিয়োগ দেন। এ ছাড়াও একই দিনে কম্পিউটার বিজ্ঞান (সিএসই) প্রভাষক শাখায় আরও ২৫ লাখ টাকায় ইব্রাহীম খলিল, মো. বেলাল উদ্দিন, মো. ফেরদৌস, মো. ইস্রাফিল মিয়া ও বিলকিস জাহান নামে ৫ জন ও অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে আলমগীর নামে একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ ও সভাপতি সেই পদগুলোর বিপরীতে একজন-দুইজন করে অতিরিক্ত লোক হাতে রেখেছে। তিনি (অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম) তার ভাই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মির্জা আজমের প্রভাব খাটিয়ে এসব করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।

ওই কলেজের অধ্যক্ষ তার নিয়োগ বাণিজ্য করতে ও এতদিনের অপকর্মকে ঢাকতেই গত ১১ সেপ্টম্বরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এডহক কমিটি রেখে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আরেকটি কমিটির অনুমোদন নেন।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বহাল রাখতে তিনি কলেজের কমিটিতে পুনরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও তার ছোট ভাই মির্জা জিল্লুর রহমানকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে কমিটিতে রেখেছেন। তারা দ্রুত এই নিয়োগ বাতিলের দাবিসহ বিভাগীয় তদন্তের কথা বলেছেন স্থানীয়রা।

নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে অভিযোগ করে ওই এলাকার এক শিক্ষানুরাগী মো. নুর নবী বলেন, অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মির্জা আজমের ছোট বোন। তিনি যোগদানের পর থেকে শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় কলেজে আসতেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ভাই মির্জা আজমের প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট করেছেন। তার এসব দুর্নীতির তদন্তের দাবি করছি।

এ নিয়ে নুরুন্নাহার মির্জা কাশেম কলেজের অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম বলেন, ‘নিয়োগ বাণিজ্যেও বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি নিয়মিত কলেজ যাই আর কলেজটি আমার বাবার দেওয়া। আমি তার সম্মান ধরে রাখতেই কলেজের দায়িত্ব পালন করছি। এখানে অনিয়ম করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ