কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া পিএমখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ এবং আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহকে সদর থানা হেফাজতে আনা হলে হাজারো কর্মী-সমর্থক থানা থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজিম বলেন, পিএমখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করার জন্য নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশের গাড়ি থেকে নামানোর সময় আব্দুল্লাহর সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ধাওয়া করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ওসি আরও বলেন, ১৮ জুলাই কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে মারা যান আহসান হাবীব নামের এক তরুণ। ওই তরুণ বিআরবি ক্যাবলের কর্মচারী ছিলেন। এ ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষে দায়ের করা মামলায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ