ধর্মঘটের কারণে রাঙ্গামাটির সাজেকে আটকে পড়া ১ হাজার ৪০০ পর্যটককে উদ্ধার করে খাগড়াছড়িতে আনা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই বার্তায় বলা হয়, ‘সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইউপিডিএফ (মূল)-এর ডাকা ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটে সাজেকে আটকা পড়া ১৪০০ জন পর্যটককে খাগড়াছড়িতে প্রত্যাবর্তন।’
‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা’ প্ল্যাটফর্মে শনিবার সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয়া হয়।
ওই দিন সকাল থেকে পার্বত্য জেলাগুলোতে শুরু হয় এ অবরোধ। পাশাপাশি রাঙ্গামাটিতে যৌথ পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলে।
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন শনিবার বলেছিলেন, ‘শুক্রবার সাজেক জীপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন বলেন, সকাল এবং দুপুরে এসকর্ট মিলিয়ে ১০০-১১০টি জীপ, ৫০টির মত মাহেন্দ্রা ও সিএনজি সাজেকে প্রবেশ করেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও অনেকে এসেছেন। হঠাৎ অবরোধের ঘোষণা আসাতে, পর্যটকরা আর খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে যেতে পারেননি। শনিবার পর্যটকরা সাজেকেই কাটিয়েছেন। রোববার এসকর্ট ছাড়বে কিনা– নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
‘হঠাৎ অবরোধের ঘোষণা আসায় পর্যটকরা আর খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ফিরে যেতে পারেননি। শনিবার পর্যটকরা সাজেকেই কাটিয়েছেন। রোববার এসকর্ট ছাড়বে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহসভাপতি চাই থোয়াই চৌধুরী জয় সেদিন বলেছিলেন, ‘সাজেকে বর্তমানে ১ হাজার ৪০০ জনের মতো পর্যটক অবস্থান করছেন। যেহেতু পর্যটকরা ফিরে যেতে পারেননি, তাই আমাদের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তাদের থাকার খরচ আজকের জন্য ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামীকালও পর্যটকরা ফিরতে না পারলে তাদের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ ভাড়াই রাখা হবে।’
এছাড়া রিসোর্ট মালিক সমিতি সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের রিসোর্টে থাকার ভাড়া মওকুফ করে এবং কিছু পর্যটকের বিনা খরচে খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ