নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের অর্থনীতির জন্য পায়রা একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এর কাজ যেন আরও ত্বরান্বিত হয় এবং প্রকল্পে বরাদ্দের টাকা যেন শতভাগ সদ্ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ হয়েছে ম্যান্টেইনেন্সের মাধ্যমে চ্যানেলের নাব্য বজায় রেখে বন্দর সচল রাখা হবে।
আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বন্দরটিকে লাভজনক করতে হলে এর কানেক্টিভিটি উন্নয়ন করতে চারলেন রাস্তা ও রেল লাইনের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। এছাড়া দেশের আমদানি পন্যের কিছু অংশ এ বন্দরে পণ্য খালাশ করে আয় বাড়ানোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে এতে অন্য বন্দরগুলোর ওপরেও চাপ কমবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো বন্দর রাতারাতি প্রতিষ্ঠা হয়নি সেজন্য সময় দিতে হবে।
সাখাওয়াত হোসনে আরও বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ বন্ধ হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে কোনো ধরনের জাচাই-বাছাই ছাড়া করা হবে না। বিআইডব্লিউটিসি অনেক জাহাজ ক্রয় করেছে। যা এখন চালাতে পারছে না। এখন চিন্তা করা হচ্ছে অপারেটরদের দেয়ার জন্য। দেশে ফরমায়েসি কাজ বেশি হয়। এক দেশে এক নদীর ওপর পাঁচটি ব্রিজ। যেই নদীতে ব্রিজের প্রয়োজন সেখানে তদবির করার মতো কেউ নেই তাই ব্রিজ হচ্ছে না। এগুলো যে এক মাস, বছরে শেষ হয়ে যাবে তা নয়।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার বণিক, চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী,সদস্য পরিমল চন্দ্র বসু (যুগ্মসচিব),সদস্য ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন (ট্যাজ), ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাহিদ, ক্যাপ্টেন এস এম শরিফুর রহমান (প্রকল্প পরিচালক, পাবক)সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার বিকেলে, পায়রা বন্দরের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত পায়রা বন্দরে ২৮০২টি দেশি বিদেশি জাহাজ ভিড়েছে। মোট আয় হয়েছে ১৫ শত ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ টাকা।নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ