চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নদী খালসহ আশপাশের শাখা নদীগুলোতে চলছে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে নিষিদ্ধ সুতি জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার। স্থানীয় একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এবং বেশি অর্থের লোভ দেখিয়ে প্রান্তিক চাষিদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এসব সুতি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা বারুহাস ইউনিয়নের হেদারখাল, সগুনা ইউনিয়নের কুশাবাড়ি, মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার। সাধারণত নদীর উভয় তীরে বাঁশ, চাটাই ও নেট জালের সাহায্যে বাঁধ দিয়ে নদীকে সংকুচিত করে, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহিত পানির গতিকে বহুগুণ বাড়িয়ে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে, নিষিদ্ধ সুতি জাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আর এভাবেই তাড়াশের নদীও খালে চলছে অবৈধ সুতি জাল পেতে মাছ শিকারের মহোৎসব। এতে মাছসহ বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণি ধরা পড়ছে, ফলে নদ-নদী, জলাশয় থেকে ছোট-বড় মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সুতিজাল দিয়ে মাছ ধরা মোবারক হোসেন জানান, এলাকার প্রান্তিক জেলেদের সঙ্গে নিয়ে মাছ শিকার করছি। তবে কোনো প্রভাব খাটানোর অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কমসংখ্যক লোকবলের কারণে সময়মত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে অচিরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সুতি জাল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ