ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

২০ দিনের ছোট-বড় আপন দুই ভাই!

প্রকাশনার সময়: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩৫

মো. মতিউর রহমান ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম আপন দুই ভাই। দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাদের বয়সের ব্যবধান মাত্র ২০ দিনের। বড় ভাই মতিউর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি শেষ করে অবসর গ্রহণ করেছেন। ছোট ভাই মঞ্জুরুল একটি (এমপিও-ভুক্ত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এমন জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

তথ্য গোপন করে কৌশলে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বড় ভাই সরকারি ও ছোট ভাই (এমপিও-ভুক্ত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছে কিভাবে এমন প্রশ্ন উঠেছে সচেতন নাগরিকদের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর সগুনা গ্রামের বাসিন্দা আপন দু’ভাই মতিউর রহমান ও মঞ্জুরুল ইসলাম। বাবার নাম মো. ইমান আলী আর মায়ের নাম মোছা. ফুলমতি বেগম। বড় ভাই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ও ছোট ভাই অনার্স পাশ বলে জানা গেছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেও সরাসরি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (এমপিও-ভুক্ত) চাকরি করেও সরাসরি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকে কিভাবে এ নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বড় ভাইয়ের জন্ম ১০ জুন ১৯৮০ এবং ছোট ভাইয়ের জন্ম ৩০ জুন ১৯৮০, সেই হিসেবে তাদের বয়সের ব্যবধান মাত্র ২০ দিন।

মঞ্জুরুল ইসলাম ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর সগুনা এসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ২০১৪ সালে তিনি ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে জয়েন করেন। সঠিক জন্ম তারিখ না দিয়ে চাকরি বয়স কমিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের কাজ চলছে। নোটারী পাবলিক করে ঠিক করা হবে। ওই সময় কেরানি স্যারেরা জন্ম তারিখ বসিয়ে দিয়েছে।

রাজনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই বছর আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ থেকে রিজাইন দিয়েছি।

মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আজাদুর রহমান ভূইয়া বলেন, বয়সের বিষয়টি তার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. আলমগীর বলেন, চাকরি নেওয়ার সময় যদি কোনো জালিয়াতি করে থাকে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ