‘আমরা দেখেছি ৭১’র পর থেকে ২০২৪-এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা শাসক ছিল, তারা এ দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা আবরারকে বুয়েটের মধ্যে হত্যা করেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ মেয়েকে ধর্ষণ করার পরে সেঞ্চুরি পালন করেছে, সেখানে খুন এবং ধর্ষণ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, গোটা দেশের ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে ফেলা হয়েছে। দেশে চুরি-ডাকাতির মেগা প্রজেক্ট খোলা হয়েছিল। সেই বাংলাদেশ আর দেখতে চাই না।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সৌদি-বাংলা মার্কেটের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা দেখেছি ৭১-এর পর থেকে ২০২৪-এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা শাসক ছিল, তারা এ দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছে।
তিনি বলেন, গোটা বাংলাদেশের টাকা মাত্র ২০ থেকে ২৫টি পরিবারের কাছে জিম্মি। ১৮ কোটি মানুষের টাকা থাকবে মাত্র ২০ জনের কাছে, এটা হতে পারে না। আমরা সুষম বণ্টন চাই। আজকে বাংলাদেশ ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণী। প্রত্যেক নাগরিকের মাথার ওপরে আজ দেড় লাখ টাকা ঋণ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে। মেয়েরা ইজ্জত-আবরু নিয়ে বসবাস করতে পারবে। আমাদের মেয়েরা-ছেলেরা বড় ব্যবসায়ী হবে, আমাদের বোনেরা-ভাইয়েরা বড় শিক্ষিত হবে, চাকরিজীবী হবে। গরিবেরা দারিদ্র্যসীমার ওপরে চলে যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি ইসলামিক অর্থনীতি প্রয়োগ করা হয়, তাহলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একজন গরিবও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতি সব ধনীদের জন্য, গরিবদের জন্য নয়। ইসলামী অর্থনীতি সবই গরিবদের জন্য। পুঁজিবাদী অর্থনীতি ধনীদের আরও ধনী এবং গরিবদের আরও গরিব বানায়। ইসলামী অর্থনীতি গরিবদের ধনী বানায় এবং ধনীদের ভারসাম্য রক্ষা করায়।
শায়খে চরমোনাই বলেন, এদেশে আর গুন্ডামী-বদমাইশি চলবে না। সকলকে সতর্ক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবে হবে। যারা লুটতরাজ, চাঁদাবাজ, চোর, খুনি, দুর্নীতিবাজ, জুলুমকারী, আমরা ভোটাররা তাদেরকে ভোট দেব না। নয়তো আমরা আর কখনো শান্তি পাব না। দলের পরিবর্তন হয়েছে, নেতার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু নীতির পরিবর্তন হয় নাই। তাই শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই।
গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির শরিয়াহ উপদেষ্টা মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বীপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ