লক্ষ্মীপুরে ১৩ বছর বয়সী শিশু তামিম মাহমুদ ১১ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করে পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের অবাক করে দিয়েছে এই শিশু।
তামিম মাহমুদ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র এবং লামচরি গ্রামের মো. আরিফুর রহমান-তাসলিমা বেগম দম্পত্তির ছেলে।
সম্প্রতি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে তামিমকে পুরস্কার দেয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এসময় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামচরী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি হাবিবুল্লাহ বিন হাফিজ। সভাপতিত্ব করেন নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ফয়সাল আহমাদ।
জানা যায়, ২০২৩ সালের তামিমকে বাড়ির পাশে নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হয়। ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা ছেলে নামকরা হাফেজে-আলেম হয়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করবে।
মাদরাসার শিক্ষকরা বলেন, মা-বাবা তার ছেলেকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। এ জন্য ছেলেকে মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান। তাদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোরআন মুখস্ত করে তামিম। মুসলিম হিসেবে কোরআনে হাফেজ হওয়া পরিবার ও সমাজের জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া।
শিশু হাফেজ তামিম মাহমুদ বলেন, মা-বাবা ও মাদরাসার ওস্তাদদের সহযোগিতায় আমি ১১ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করতে পেরেছি। সবার কাছে দোয়া চাই। আমি যেন দেশ বরেণ্য আলেম হতে পারি।
নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ফয়সাল আহমাদ বলেন, ২০২৩ সালে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে ৯ জন হাফেজ হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০জন ছাত্র হেফজ বিভাগে অধ্যায়নরত। তামিম আমাদের মেধাবী ছাত্র। সে ১১ মাসে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছে। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ