ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গোপালগঞ্জে ভাসমান তরমুজ চাষে সফলতা

প্রকাশনার সময়: ০১ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৪০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৪৫

চলছে বর্ষাকাল। তরমুজের মৌসুম না থাকলেও গাছে গাছে ঝুলছে তরমুজ। অসময়ে ভাসমান বেডে তরমুজ ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোপালগঞ্জের কৃষক হানিফ মল্লিক। দেখতে ছোট হলেও এক একটির ওজন হবে ২-৩ কেজি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় এবছরই তিনি ভাসমান বেডে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার দেখাদেখি আগামীতে অন্যরাও এই তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নকড়িরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক। ছোটবেলা থেকে কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বর্ণি বাওড়ের কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ধাপ তৈরি করে শাক সবজির চাষ করতেন।

চলতি মৌসুমে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে ৪টি বেডে সবজির পরিবর্তে থাইল্যান্ডের সুইট ব্লাক-টু জাতের তরমুজ গাছ রোপণ করেন। দুইটি বেডের মাঝে বাঁশ আর নেট দিয়ে ঘর আকারে উঁচু করে তৈরি করেন মাচা। সেই মাচায় মাত্র ৫০দিনে তিন শতাধিক তরমুজ ধরেছে।

তরমুজ চাষি হানিফ মল্লিক বলেন, প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে আড়াই থেকে ৩ কেজি। তরমুজ চাষে তার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা আর বিক্রি নামবে অন্তত: ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০টাকা দরে।

এলাকাবাসী জানান, আগে জানতাম চৈত্রমাসে তরমুজের চাষ হয়। এখন দেখি নতুন পদ্ধতিতে ধাপের উপর বর্ষাকালে ভাসমান বেডে চাষ হচ্ছে তরমুজের। আগামীতে আমরাও এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করবো।

ব্লক সুপার ভাইজার প্রদীপ হালদার বলেন, ধাপের উপর সবজি ও মসলাচাষ প্রকল্পের আওতায় কৃষক তরমুজ চাষ করেছেন। তাতে ভালোই লাভবান হবেন।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড.অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ধাপের উপর এতোদিন এ অঞ্চলের কৃষক সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। এবার অসময়ে ভাসমান বেডের উপর তরমুজ চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আগামীতে গোপালগঞ্জে ভাসমান পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ বৃদ্ধি পাবে এমনটি প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ