পটুয়াখালীতে এক ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন সন্ধ্যার দিকে চালানো হয় হামলা। ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখা গেছে যে, একদল দুর্বৃত্তরা হঠাৎ করেই ব্যবসায়ী ফিরোজের বাড়িতে ঢুকে পড়ে ও ভাঙচুর চালায়। এরপরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে মালামাল ও নগদ অর্থ লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী ও ব্যবসায়ী এ ঘটনায় পটুয়াখালী আদালতে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এমন অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ আশরাফ।
ফিরোজ আশরাফ বলেন, গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ এ পুরো দেশ যখন স্বাধীনতায় ভাসছে তখন ব্যক্তি গত রোশানলে সাইফুল ইসলাম মৃধা ও রিমানুল ইসলাম রিমুর নেতৃত্বে আমার বাড়ীতে এক ধ্বংসলীলা চালায়। এদের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন লোক আমার বসত বাড়ীতে ঢুকে আমার ঘর, আমার ভাড়াটিয়ার ৬টি ঘর , আমার বিভিন্ন কোম্পানীর ডিস্ট্রিবিউটর এর গোডাউন ঘর ভাংচুর ,আমার মাকে মার-ধর করে রক্তাক্ত জখম ও মায়ের হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে এবং যাওয়ার সময় উচ্চস্বরে বলে তোরা বাড়ী ছেড়ে চলে যাবি তা না হলে তোদেরকে মেরে ফেলবো। তারা তালা ভেঙে ৪টি কোম্পানির মালামাল এবং ক্যাশে থাকা নগদ টাকা পয়সা ও বাসার ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ৪০ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়া যায়। পরে এক পর্যায়ে আমরা কোর্টের স্মরণাপন্ন হই এবং তাদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করি। এই মামলার খবর শুনে তারা আমাদের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে নাম শনাক্ত করা হয়েছে । তাদের নাম গুলো হল: রিমানুল ইসলাম রিমু, আক্রাম সিকদার জসিম উদ্দিন, শওকত হোসেন, আল-আমিন, নজরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আবু শাহিন, কুদ্দুস, সোহাগ খান, রাসেল ও জহির খান। আরো অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদেরকে শনাক্ত করা যায়নি।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ