লক্ষ্মীপুর চলমান বন্যার কারণে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ব্রিজ-কালভাট ও সড়ক ডুবে গেছে। অনেক সড়ক প্রায় পুরোপুরি বিধস্ত অনেক আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো অনেক সড়ক পানি ডুবে থাকার কারণে ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে না।
তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি (লক্ষ্মীপুর) কার্যালয় প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ১০৬১ কি.মি. সড়ক এবং ১৪৯টি পুল ও ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলায় ৫১৭.৩৮ কি. মি. রাস্তা ৩৫ ব্রিজ-কালভাট, রায়পুর উপজেলায় ১৭৩ কি. মি. রাস্তা ৩৮টি ব্রিজ-কালভার্ট, রামগঞ্জ উপজেলায় ২০৮ কি. মি. রাস্তা, ১৮ ব্রিজ-কালভার্ট, কমলনগর উপজেলা ৬২ কি. মি. সড়ক, ১৮ ব্রিজ-কালভার্ট এবং রামগতি উপজেলায় ১০১ কি. মি. রাস্তা, ৪০টি ব্রিজ-কালভার্ট।
সদর উপজেলার গন্ধব্যপুর- শংকরপুর সড়ক তিন বছর পূর্বে পাকাকরণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ঘূণিঝড় এবং বর্তমানে চলমান বন্যার পানি জমে যাওয়ার কারণে রাস্তা বিভিন্ন অংশ খালে পড়ে গেছে। এতে মানুষ ঝুঁকি দিয়ে ওই পথ দিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত ও পড়ে অংশ বিষয়ে জরুরিভাবে প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ওই এলাকার মো. রবিউল ইসলাম খান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছ।এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ জানান, প্রাথমিকভাবে পানি ডুবে থানা সড়ক, কালভার্ট-ব্রিজের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কতটাকা মোট ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছে না। অনেক রাস্তা ও ব্রিজ, কালভাট এখনো পানি নিচে। পানি নেমে গেল প্রকৃত ক্ষতি জানা যাবে।
লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যার কারণে ১০৬১ কি. মি. সড়ক এবং ১৪৯টি পুল ও ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে এসব রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট সংস্কার-মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ