চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে এসে সিফাত আর মজুমদার (২১) নামের এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঝরনা এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা। তবে এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ মিলেনি।
সিফাত আর মজুমদার ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটানেটিভ এর ব্যাচেলর অফ ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসেন সিফাত মজুমদার ও তার ১৩ জন বন্ধু। তারা গত মঙ্গলবার সকালে মিরসরাই আসে। দুপুরে ঝরনায় যাওয়ার পর হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে যায় সিফাত।
সিফাতের বড় ভাই রিফাতুর রহমান মজুমদার বলেন, আমরা তিন ভাই বোনের মধ্যে সিফাত দ্বিতীয়। সে তার বন্ধুদের সাথে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখার জন্য সোমবার রাতে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে মিরসরাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। মঙ্গলবার সকালে তারা মিরসরাই পৌঁছে ঝরনা এলাকায় যায়। তারা ১০ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়ে সহ মোট ১৩ জন ছিলো। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আমার ভাই নিঁখোজ হওয়ার বিষয়ে তার বন্ধুরা আমাদেরকে জানায়নি। সারাদিন তার কোনো খবর না পেয়ে আমি তার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করি। পরবর্তীতে তারা বলে দুপুরে ঝরনা থেকে আমার ভাই নাকি নিঁখোজ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই নিঁখোজ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে তারা মিরসরাই এনে গুম করেছে। আমি তার সহপাঠিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, খৈয়াছড়া ঝরনায় শিক্ষার্থী নিঁখোজের বিষয়ে আমরা মঙ্গলবার রাত ৮টায় খবর পাই। পরবর্তীতে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তার সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু ঝরনা এলাকায় শিক্ষার্থী সিফাতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেষ রায় বলেন, খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় শিক্ষার্থী সিফাত নিঁখোজের ঘটনায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন বুধবার সকাল থেকে খুঁজতেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রায় ৪০ জনের একটি গ্রুপ তাকে খোঁজার চেষ্টা করতেছেন।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে সিফাতকে গুম করার বিষয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ