ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বন্যার্তদের পাশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

প্রকাশনার সময়: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৫৫

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের একটি দল ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে গেছে।

শরণার্থী শিবিরে নিজেরা চাল ও ডালসহ বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহ করে বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে এই সহায়তা দিয়েছে।

ভারি বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দুই সপ্তাহ ধরে তলিয়ে আছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো। সেখানে এমন বন্যা সাম্প্রতিক অতীতে আগে কখনও দেখা যায়নি।

উখিয়া কুতুপালং রিফিউজি কমিউনিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- গত দুই দিনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দলটি ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরের বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। তাদের ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন খাদ্যপণ্য।

নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে ১৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা। তাদের বেশিরভাগই থাকছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে।

রিফিউজি কমিউনিটির পক্ষ থেকে সংগঠক আরমান ইলাহী ও সৈয়দুল হক বলেন, গত ৩২ বছর ধরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের বিপদে বাংলাদেশের মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই বাংলাদেশের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে অংশীদার হতে চাওয়া থেকেই এই ত্রাণ বিতরণ।

শরণার্থী শিবিরে থাকা ভিনদেশি রোহিঙ্গাদের বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বাইরে গেলে তাদের গ্রেপ্তারও হতে হয়।

ত্রাণ বিতরণে রোহিঙ্গাদের বাইরে যাওয়া নিয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালানোর জন্য কেউ কোনও ধরনের অনুমতি নেয়নি। তবে এক সাংবাদিকের সহায়তায় রোহিঙ্গারা বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে বলে নানা মাধ্যমে জেনেছি।

বিনা অনুমতিতে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ