বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের চালানো নির্যাতনের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, মাথায় হেলমেট ও ভেস্ট পরিহিত কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভ্যানের ওপর রক্তাক্ত লাশের স্তূপ সাজাচ্ছেন, একটির ওপর আরেকটি। ভ্যানের ওপর স্তূপ সাজিয়ে মরদেহগুলো ঢেকে দেওয়া হয় চাদর দিয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে সাভারের আশুলিয়ায়। আর ভিডিওতে দেখা যাওয়া হেলমেট পরিহিত ওই ব্যক্তি ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন।
স্থানীয়রা বলেন, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা আশুলিয়া থানার সামনে জড়ো হয়। পরে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ফলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ নিহতদের একটি ভ্যানে করে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। এমনকি পুলিশের একটি গাড়িতে কয়েকজনকে আটকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার সামনের দোকানি মনোয়ার বলেন, গত ৫ তারিখে আমার দোকান বন্ধ ছিল। পরদিন ৬ তারিখে সকালে আশুলিয়া থানার সামনে এসে দেখি পুলিশ ভ্যানে কয়েকটা পোড়ানো লাশ। তবে লাশের সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে পারিনি। আর ভিডিওটি আমাদের আশুলিয়া থানার সামনে থেকেই করা। আশুলিয়া থানার পাশেই কিছু বালু ভর্তি ব্যাগ ছিল, যা ভিডিওতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে মাথায় হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্য ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত আরাফাত হোসেন বলে শনাক্ত করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব বলেন, ভিডিওটি অস্পষ্ট। তবে আরাফাত হোসেন আমাদের ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত হিসেবে কর্মরত রয়েছে। ভিডিওর ওই পুলিশ সদস্য আরাফাত কিনা আমি নিশ্চিত নই। তবে সকাল থেকে অনেকই আমাকে ফোন দিয়ে আরাফাতের বিষয়ে জানাতে চাচ্ছে।
আরাফাত ৫ আগস্ট কোথায় ডিউটি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গোয়ন্দা পুলিশরা সাভার থানায় ডিউটি করেছি। কিন্তু আরাফাত সেদিন কোথায় ডিউটি করেছে, তা আমি নিশ্চিত নই।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ