বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

চাঁদা না দেয়ায় ঔষধ ফ্যাক্টরি বন্ধ

প্রকাশনার সময়: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪০

চাঁদা না পেয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আমার কাছে আট লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে আমার প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন এবং প্রতিষ্ঠানের গেটে চাঁদাবাজরা তালা ঝুলিয়ে দেন। মালামাল বহনকারী বেশ কয়েকটি পরিবহন তারা রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। সরাসরি এবং ফোন কলের মাধ্যমে এই চাঁদার টাকা দাবি করা হয়।

অপর দিক থেকে চাঁদাবাজদের ফোন কল থেকে জানা যায়- মোজাফ্ফর হোসেন শীর্ষ সন্ত্রাসী রওশন প্রামানিক কে প্রশ্ন করেন, আমার প্রতিষ্ঠান কেন চলতে দিচ্ছো না? আমার প্রতিষ্ঠানের মাল কেন ফেলে দিচ্ছো? এবং আমার প্রতিষ্ঠানের মহিলা কর্মচারী সহ সকল কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় কেন বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছো?

প্রতিউত্তরে শীর্ষ সন্ত্রাসী রওশন বলেন , “আট লক্ষ টাকা দিলেই এই ধরনের সকল পেরেশানি মূলক কার্যক্রম আমরা বন্ধ করে দেব!” উক্ত ঘটনায় গত ২৭ আগষ্ট উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরির কর্ণধার আলহাজ্ব মোঃ মোজাফফর হোসেন।

অভিযোগে তিনি বলেন, আমার "জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি" নামে ঔষধ ফ্যাক্টরি আছে। গত ৭ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে মোঃ রওশোন প্রামানিক,মোঃ সাইদুর রহমান সেন্টু আমার প্রতিষ্ঠান খুলতে দিচ্ছে না। তারা আমার কাছে আট লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে, তার আমার প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তাদেরকে আট লক্ষ টাকা চাঁদা দিব ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আমার প্রতিষ্ঠান খুলতে দিবে না মর্মে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি সহকারে সামাজিকভাবে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে বারবার ফোন কেটে দেয়।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিউল আযম খান-এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন-আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন- অভিযোগ পেয়েছি এই ধরনের কার্যক্রম আমার উপজেলায় অনেকগুলোই ঘটছে তবে আমাদের সাথে সাথে আপনাদের সাংবাদিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।যদি আপনারা এগিয়ে আসেন তাহলে আপনারা এবং আমরা সবাই মিলে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হব।

নয়াশতাব্দী/ইএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ