মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

গাজী টায়ারে আগুন নিয়ন্ত্রণ হলেও শুরু হয়নি উদ্ধার অভিযান

প্রকাশনার সময়: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৩৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাজী টায়ারের ৬ তলা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের ২২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনো উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষন) লে. কর্ণেল রেজাউল করিম ।

এদিকে, আজ সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট ভবনটির আগুনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে। আগুনে পুড়ে পুরো ভবনটির অবস্থা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখনো ভবনটির ভিতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।

এদিকে সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন ইন্সপেক্টর জাহিদুলের নেতৃত্ব ক্রাইমসিনের ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল। বেলা ১১টার দিকে কারখানা পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় ঘটনা তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান।

অপরদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার ভেতরে ও বাইরে এসে ভীড় জমাতে থাকেন। নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের ১৫০এর অধিক ব্যক্তি নিখোঁজের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রূপগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানায় বিভিন্ন বয়সের কয়েকশতাধিক লোক কারখানায় টায়ার তৈরীর বিভিন্ন কাঁচামালসহ সালফিউরিক এসিড রাখা ৬ তলা ভবনে ভিতরে প্রবেশ করে লুটপাট শুরু করে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ভবনটির নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেন। মুহুর্তে আগুন পুরো ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ডেমরা, পূর্বাচল, আদমজী ইপিজেড, আড়াইহাজার, নরসিংদি, কাঞ্চন, হাজীগঞ্জ, ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের ১২টি প্রায় ২১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিভে নি।

এব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসে সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান জানান, ভবনটিতে লাগানো আগুন দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে ভবনটি একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলেও ভেতরে ধোঁয়া ও তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনে প্রবেশ করতে পারছে না। তারা পানি নিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ধোঁয়া কমিয়ে আনার চেষ্টা চলাচ্ছে। তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ধোঁয়া কমে গেলে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান বলেন, কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া কারখানায় নিরাপত্তার জন্য একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, কারখানার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক শিল্পপুলিশের পাশাপাশি রূপগঞ্জ থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। লুটপাট যেন না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা আছে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ