খনিজ-বালি পাথরসমৃদ্ধ সীমান্ত নদী জাদুকাটায় বালি মহালের নামে, জাদুকাটা নদীর নির্বিচারে পাড় কেটে বালি নিয়ে যাওয়ায় ও বালুখেকুদের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আবুল হাসনাত রাহুল, আজিজুর রহমান কাউসার, আনিসুর রহমান সাকিব, জাহিদ আল সুজন, সজিবুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান আকাশ, মইনুল ইসলাম, নবাব সারুয়ার ইয়াহিয়া,তপু আহমেদ, আবুল হাসান খাইরুল, হুমায়ূন কবির, এমদাদুল হক, মুরাদ।
মানববন্ধন সভায় বক্তারা বলেন- আমাদের এই জাদুকাটা নদীতে রাতের আঁধারে প্রশাসনের সহযোগিতায় ইজারাদার রতন মিয়া ও রানু মেম্বার পাড় কেটে নিয়ে নদীর সৌন্দর্য নষ্ট করছে। নদীর পাশের গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যারা নদীর পাড় কেটে মানুষের বসতবাড়ি ও পরিবেশ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবার একসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে। রতন মিয়া নামের এক ইজারাদার, রানু মেম্বার ও তাহিরপুর থানার ওসি মাইন উদ্দিন মিলে মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে এই অপরাধ করে যাচ্ছে। পুলিশ অফিসার হয়েও তাহিরপুর থানার ওসি মহিউদ্দিন যদি এমন অপরাধ করতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য আইনের শাসন কতটা নিরাপদ। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, যাতে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ বিষয়ে যাদুকাটা নদীর ইজারাদার রতন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত রানু মেম্বার আমার লোক না। রানু মেম্বার সহ এই পাড়ের কয়েকজন নেতা এর সঙ্গে জড়িত। আমার লোকজন পাড় কাটায় বাঁধা দিতে গেলে, তাদের উপর হামলা করে তারা। আমি সবসময় পাড় কাটার বিপক্ষে। এর আগে কয়েকবার জেলা প্রশাসক বরাবর পাড় কাটার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করেছি।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, আমি গতকালকে পাড় কাটা বন্ধ করতে হুশিয়ারী দিয়ে এসেছি। শক্ত হাতে পাড় কাটা দমন করবো বলেছি। এতে অনেকের স্বার্থে আঘাত আসবে। যাদের স্বার্থে আঘাত আসবে, তারাই ছাত্রদের দিয়ে মানববন্ধন করিয়েছে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ