ময়মনসিংহের ভালুকায় মাদকের ছোবলে শিবলী সিদ্দিকি শাওন (৪০) নামে এক মেধাবী ছাত্রের করুণ মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেজরভিটা নিজবাসা থেকে পুলিশ তার অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারেণ তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুরুড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শিবলী সিদ্দিকি শাওন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেজরভিটা এলাকায় ছোটবোন ছামারা সিদ্দিকিকে (২০) নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করছিলেন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাতে পাশের রুমে অবস্থানরত ছোট বোন ছামারা সিদ্দিকি ঘুম থেকে জেগে দুর্গন্ধ পান। এ সময় তিনি চাচাত ভাই কাউসারকে ফোন দেন। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ শনিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত শিবলী সিদ্দিকি শাওন খুবই মেধাবী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সিলেট ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুযোগ পান। তবে ২০০১ সালে মাদকে জড়িয়ে পড়ার কারণে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু পরে বাবার বিশেষ অনুরোধে তাকে আবারও সুযোগ দেয়া হলে ২০০৩ সালে তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন। পরে ২০০৭ সালে তিনি অস্ট্রোলিয়ায় চলে যান। আট বছর তিনি ওখানে অবস্থানকালেও তেমন কোনো চাকরি বা লেখাপড়া না করে মাদক সেবন করার কারণে পরিবারের লোকজন টাকা খরচ করে দেশে নিয়ে আসেন।
এদিকে শাওনের মা-বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি ভালুকাতেই শিবলী এডুকেশন এন্ড স্টাডি সেন্টার নামে একটি ইংলিশ মিডিয়াম কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন।
শাওনের ভগ্নিপতি তাশদিকুল হক খুশবু জানান- শাওন যেরুমে থাকতো, পাশের রুমেই থাকতো তার ছোট বোন ছামারা সিদ্দিকি। কিন্তু ভাই-বোনের মাঝে সম্পর্ক খারাপ থাকায় তারা উভয়েই আলাদা রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া করতেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় তার ছোট বোন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শারমিন সিদ্দিকি একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ