স্মরণকালের ভয়ানক বন্যার কবলে পড়েছে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা। ইতোমধ্যে উপজেলার এক তৃতীয়াংশ অংশ বন্যার কবলে পড়েছে। আজ শনিবার ২৪ (আগস্ট) উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের ভিড়। বন্যায় পানিরবন্দি মানুষদের উদ্ধারে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন সেনাবাহিনীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় উপজেলার করেরহাট, ধুম, হিঙ্গুলী, ওচমানপুর, কাটাছড়া, ইছাখালী, খৈয়াছড়া ও মায়ানী ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য খোলা হয়েছে ৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। শনিবার সকাল পর্যন্ত এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অন্তত ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা দিতে উপজেলার জোরারগঞ্জ ও করেরহাট ইউনিয়নে দুটি ক্যাম্প করেছে সেনাবাহিনী।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, মিরসরাইয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের জন্য ১৬টি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে বন্যাদুর্গত মানুষদের সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ টন চাল ও নগদ ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ পরিচালনা, চিকিৎসাসেবা প্রদান ও খাবার পানি সরবরাহে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ