গণমাধ্যমকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন সদ্য বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে শহরের আলাইপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্যের জন্য সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান।
এর আগে, গত ১৫ আগস্ট নাটোর শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপি অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু বলেন, খুনিদের ছবি যেসব টেলিভিশন ও পত্রিকায় প্রচার হবে তা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
এ বক্তব্যের পর গত রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে চেযারপারর্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আমার বক্তব্যে যদি আপনারা দুঃখ পেয়ে থাকেন, আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি সাংবাদিকদের খুব ভালোবাসি। সারাদেশে এমন কোনো সাংবাদিক নেই, যে আমাকে পচ্ছন্দ করে না। প্রতিটি পত্রিকার সম্পাদকের সাথে আমার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা স্বাধীনভাবে লিখতে পারেননি। হাসিনা সাংবাদিকদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। সাংবাদিক ভাইয়ের লিখতে পারতো না। মামলা দিয়ে পত্রিকার সম্পাদকদের জেলে দিয়েছে। অনেক সাংবাদিকদের বিদেশে চলে যেতে বাধ্য করেছেন। তার কার্যালয়ে, গণভবনে অনেক পত্রিকা পৌঁছাতে পারেনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দুলু আরও বলেন, ১৬ বছর যাদের বিএনপিতে দেখিনি, তারা এখন ডুকেছেন। আমার নির্যাতিত নেতাকর্মী কষ্ট করেছে। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যদি তারা দোকানে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে যদি চাঁদা চায় আমাকে ফোন করে জানাবেন। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। যে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর অত্যাচার করেছে, তারাও যদি আত্মীয়তার পরিচয় নিয়ে বিএনপির মিছিলে ও কর্মসূচিতে আসে। তাহলে ওই বিএনপির নেতাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো বাহির মাল বিএনপিতে স্থান হবে না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন- নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বাবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বাবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ রনি, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেল শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বুলবুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ