সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিটি মাঠে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ এলাকার চাষিদের মূল ব্যস্ততা আমনকে নিয়েই। আর এ কারণেই আদিবাসী নারী শ্রমিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। তারা দম ফেলার সময় পাচ্ছে না।
সূর্য উদয়ের সাথে সাথে আদিবাসী নারী শ্রমিকেরা দল বেঁধে মাঠে রোপা আমন চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত এবং বীজতলা থেকে চারা তোলার কাজে তাদের বেশি দেখা যায়। কারণ পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে তাদের মুজুরি কম। এজন্যই চাষিদের প্রথম পছন্দ আদিবাসী নারী শ্রমিক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৫ হাজার ২৫০ হেক্টর। গত বছর রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিনা গ্রামের কৃষক রফিক বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও জমি প্রস্তুত করে রোপা আমন রোপণ করছি। সাধারণত বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যায় ১৪ থেকে ১৫ মণ। যেহেতু আমাদের এলাকা উচু, বন্যার পানি উঠে না, জমিও ধান চাষের উপযোগী তাই আমার মতো অনেক কৃষক রোপা আমন লাগাচ্ছেন। পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে আদিবাসী নারী শ্রমিকদে মজুরি কম তাই তাদের দিয়েই রোপা আমন ধান রোপণের কাজ করাচ্ছি।
মাঠে কাজ করা আদিবাসী নারী শ্রমিক কামনা, সবিতা, ললিতা ও মিনতি বলেন, এখন সবখানে একসাথে রোপা লাগানো শুরু হয়েছে, তাই আমাদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। যেখানে একজন পুরুষ শ্রমিক মুজুরি পায় ৪৫০ টাকা আর আমাদের মজুরি দেয়া হয় ৩৫০ টাকা।
আক্ষেপ করে বলেন, অন্য শ্রমিকদের চেয়ে আমরা অনেক বেশি পরিশ্রম করি তারপরও মজুরি কম। যেহেতু আমরা বেশি কাজ করি তাই মজুরিও বাড়ানো উচিত।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ উপজেলায় রোপা আমন লাগানো এখনো শেষ হয়নি। ৭০ শতাংশ জমিতে কৃষক ধান লাগিয়েছে। এবারেও লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ