কক্সবাজারের রামু টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে চার শিক্ষকের মধ্যে সুপারিনটেনডেন্ট বিশ্বজিৎ সেন, অ্যাকাডেমিক ইনচার্জ (সহকারী শিক্ষক) আবু ইউসুফ মোহাম্মদ হানিফ ও অ্যাকাউন্টস ইনচার্জ (টেইলারিং মাস্টার) মোস্তফা ছরওয়ার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বস্ত্র অধিদপ্তরের, মহাপরিচালক বরাবর করা অব্যাহতিপত্রে সই করেন তারা। প্রতিষ্ঠানটিতে একজন সুপারিনটেনডেন্ট ও চারজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে প্রধানসহ তিনজন পদত্যাগ করায় বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবক ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা, শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তিন শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের নামে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে আটকা পড়ে দূরপাল্লার বাসসহ শত শত গাড়ি। ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকসহ যাত্রীরা। সুপারিনটেনডেন্ট ও দুই শিক্ষক পদত্যাগ পত্রে সই করার পর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী রহিম উল্লাহ, সাইফুল ইসলাম জানান, এ তিন শিক্ষক সিন্ডিকেট করে ভর্তি বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহ, প্রাইভেট বাণিজ্য, বৃত্তি ও বাস্তব প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎ, ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধ করে আসছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ