চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মাহাফুজ আলম সজিব হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ মামলার ৩ আসামি র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন (৩০) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার দশমীপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মাহাফুজ আলম সজিব ভিজে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি মেলা থেকে নিখোঁজ হয় সজিব। এ ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও তদন্ত শুরু করে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট ভোরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মৎস্য ভবনের পাশে কোরবান মিস্ত্রীর বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মামা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক একজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ থেকে সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামি মামুনকে মৃত্যুণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু জানান, রায়ে বাদী পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ