কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১০টি সিন্দুক তিন মাস ২৭ দিন পর খুলে গণনা শেষে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৮টায় সিন্দুক খুলে শুরু হয় গণনার কাজ।
এবারই প্রথম সেনাবাহিনীর ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, লে. কর্নেল রিয়াজুল করিম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, সিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদসহ প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে দানের সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদরাসার ১৪৫ জন ছাত্র, ঐতিহ্যবাহী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার ১১৩ জন ছাত্রসহ ব্যাংকের ৭০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। এ ছাড়া মসজিদ কমিটির ১৫ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। মসজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ টাকা, স্বর্ণালংকার, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করে থাকেন।
পাগলা মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জানান, কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের তিন মাস পর পর দানসিন্দুকগুলো খোলা হলেও এবার আন্দোলনের কারণে তিন মাস ২৭ দিন পর খোলা হয়েছে। এতে পাওয়া গেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা।
আজ শনিবার সকাল ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় লোহার সিন্দুক থেকে বের করে আনা হচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। আছে সোনাদানাসহ বিদেশি মুদ্রাও। বস্তায় ভরে এসব টাকা নেওয়া হয় মসজিদের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে চলছে গণনার কাজ। সকাল ৯টায় শুরু হয় টাকা গণনা, শেষ হয় সন্ধ্যার পরে।
জানা গেছে, সিন্দুক খুললে প্রতিবারেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায় এবং প্রতিবারেই দানের অর্থ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে গত ২০ এপ্রিল দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া পাওয়া যায় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ