আকাশ ছোয়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতিদিনেই বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে এই কাঁচা পণ্যটির দাম। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার তা ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেলার ডোমার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের কাছে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করতে চাইছেন না দোকানদাররা। তাদের দাবি, দামের কারণে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করা যাচ্ছে না।
এক সবজি বিক্রেতা জানান, গতকালেই ২৪০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করলেও দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বর্তমান বাজার খেকে যে মরিচ কেনা হয় সেগুলোর ঝাল নেই। ফলে রান্নায় পরিমাণেও বেশি মরিচ দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ২২০/২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ এসে দেখি তা ৩২০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। তবে কিছুটা নিম্ন মানের কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাসায় কাঁচা মরিচ ছাড়া রান্না-বান্না করা যায় না। তাই প্রায় প্রতিদিনেই কাঁচা মরিচের দরকার পড়ে।
সবজি বিক্রেতা কাল্ঠু বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আমদানি কম হওয়ার কারণে কাঁচা মরিচসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে কিনে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শুধু আমাদের দোষারোপ করে লাভ নাই।
সবজি বিক্রেতা মাহফুজ বলেন, এ সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দামটা একটু বেশি বেড়েছে। আজ ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বাংলাদেশে বর্তমানে মরিচ খুব একটা নেই। ভারত থেকে মরিচ এনে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। আবার আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে যাবে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনার বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মরিচের আমদানিও কম হচ্ছে।
এদিকে, পেয়াঁজের দাম কেজিতে ৫ টাকা আলুর দাম প্রকারভেদে কেজিতে ৫/১০ টাকা কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আদা ও রসুনের দাম।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ