নড়াইলের লোহাগড়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার কারণে এক প্রসূতির মৃত্যূর অভিযোগ ওঠেছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে নড়াইল সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে এ অভিযোগ করেন ভিকটিমের স্বজনরা। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত ডাক্তার মিঠুন বিশ্বাসকে নড়াইল সদর থানার পুলিশ আটক করেছে।
নিহত প্রসূতি শান্তা লোহাগড়ার শরসুনা গ্রামের পুলিশে কর্মরত ইকবাল শেখের মেয়ে ও তালবাড়িয়া গ্রামের নাইম শেখের স্ত্রী।
স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, প্রসূতি শান্তাকে নিয়ে উপজেলার জয়পুর মোড়ে প্রত্যাশা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কথা থাকে ভালো সিজারিযান ডাক্তার দিয়ে তার সিজার করাবে। কিন্তু প্রত্যাশা ক্লিনিকের ডা. মিঠুন বিশ্বাস নিজে এনেসথিয়া দিয়ে তার সিজার করে। সিজার করে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিলেও ভিকটিম শান্তা অপারেশন থিয়েটারে মারা যায় বলে অভিযোগ করে তার স্বজনরা। প্রসূতি শান্তা মারা গেলেও কৌশলে তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নড়াইল সদর হসপাতালে পাঠানো হয়।
এ সময় শান্তার স্বজনরা লোহাগড়া থেকে ডা. মিঠুনকে সঙ্গে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে উত্তেজিত জনতা ডা. মিঠুনকে ঘেরাও করলে উপস্থিত পুলিশ তাকে আটক করে সদর থানা নিয়ে যায়।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ডাক্তারকে আটক করে এনেছি। যেহেতু ঘটনা লোহাগড়া থানার আওতায় তাই লোহাগড়া থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে এ ঘটনার ব্যাপারে ডা. মিঠুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হয় নাই।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ