ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

হাতীবান্ধা সীমান্তে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে বিজিবির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশনার সময়: ১০ আগস্ট ২০২৪, ২০:১৭

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতী সীমান্তে সনাতন ধর্মাবলম্বী জড়ো হওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে করেছেন বিজিবি। বিজিবির পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জন অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (১০ আগষ্ট) বিকেলে গোতামারী ডিএনএসসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সাংবাদ সম্মেলন করেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি।

ওই দিন দুপুরে হাতীবান্ধা থানার হলরুমে তিস্তা ব্যাটালিয়ন (৬১) বিজিবি ও পুলিশ যৌথ আয়োজনে আরও একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে শুক্রবার (৯ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার গোতামারী সীমান্তে জড়ো হতে থাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন ভারত ও বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, লালমনিরহাট ১৫বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, শুক্রবার (৯ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে এ উপজেলার উত্তর গোতামারী শশ্বানঘাট গ্রাম সীমান্তে হঠাৎ করে মাঝবয়সী ৫০ হতে ৬০ জন ছেলে জড়ো হন। পরে সংবাদ পেয়ে বিজিবির দইখাওয়া বিজিবি কমান্ডার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় তাদেরকে বুঝিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরত নিয়ে আসার চেষ্টা করে। ক্রমান্বয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য উপজেলা ও জেলা সমূহ থেকে ৫শ'-৬শ' জন সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন অল্প সময়ে সীমান্ত জড়ো হতে শুরু করে। এদের মধ্যে ২শ' হতে আড়াইশো জন লোক ওই সীমান্তের শূন্য লাইনের খরপো নদীতে অবস্থান নেন। এসময় বিজিবি জনবল বৃদ্ধি করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে আগত লোকজন যেন শূন্য লাইন অতিক্রম না করে সে বিষয়টি তাদের বুঝানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোনাব্বিরুল ইসলাম মনা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের হাতীবান্ধা উপজেলা সভাপতি অশ্বনী কুমার বসুনিয়া সহ সভাপতি কালী সংকর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরপরেই সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আওয়ামীলীগ অফিস, দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন দূর্বৃত্তরা। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সংখ্যালঘুর বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করছে দূর্বৃত্তরা। আর সেই কারণে শুক্রবার সীমান্ত দিয়ে ভারত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন হাজার হাজার সংখ্যালঘু।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ